জাল পাসপোর্ট চক্রের পর্দা ফাঁস! পাকড়াও অন্যতম চাঁই
passport scam main accused held by police

Truth Of Bengal: রাজ্যে পাসপোর্ট চক্রের মূল চাঁইকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃতের নাম মনোজ গুপ্তা । তাঁকে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছে । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে রাত দেড়টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। লালবাজার সূত্রের খবর, মনোজ গুপ্তা সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেখান থেকেই বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হতো। সে একা নয় এই চক্রে তার টিম কাজ করতো। নকল নথিপত্র দিয়ে ভারতে ঢোকার ব্যবস্থা করত এই চক্র।
এসটিএফ সূত্রে খবর, বেহালার মতিলাল গুপ্ত রোডে অফিস খুলে জালিয়াতি চক্র রমরমে চালাচ্ছিল মনোজ। ট্যুর এন্ড ট্রাভেল ব্যবসার আড়ালে পাসপোর্ট জালিয়াতিচক্র চলছিল রমরোমিয়ে। ভুয়ো নথি দেখিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়া ছাড়াও বাংলাদেশীদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা হতো। একশোর বেশি বাংলাদেশিকে বিদেশে পাঠানো হয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। মনোজের হয়ে কাজ করতেন সমরেশ সহ চক্রের অন্যান্যরা। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার চাঁদপাড়া স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার করা হয় চক্রের মূল পান্ডা মনোজ গুপ্তাকে। সূত্রের খবর, এর আগেও নদিয়া জেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় মনোজ গুপ্তা। ধৃত মনোজ গুপ্তার রেস্তোরাঁতেও নজর রয়েছে পুলিশের। অন্যের আধার কার্ড সংগ্রহ করে আধার নম্বর এক রেখে তাতে নাম, ছবি, ঠিকানা দিয়ে অবৈধভাবে এদেশে প্রবেশ করা বাংলাদেশীদের ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করত এই চক্র। আর সেই আধার কার্ডের উপর ভিত্তি করেই বানানো হত জাল পাসপোর্ট। চক্রের মূল পান্ডা ধৃত মনোজ গুপ্তা নিজস্ব কম্পিউটারেই জাল নথি বানাতেন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এর আগেও মনোজ গুপ্তার নামে এ ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর খোঁজে দু’বার তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ । অবশেষে শনিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পড়ে পাসপোর্ট চক্রের চাঁই। ইতিপূর্বে এই ঘটনায় ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত দীপঙ্কর নামে একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ । পাসপোর্ট, আধার কার্ডের মতো নকল নথিপত্র তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাঁকে গ্রেফতার করে ৷
ধৃত মনোজ গুপ্তার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই চক্রের পিছনে আরো কারা রয়েছে তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। চক্রের পাণ্ডারা আর কোনও অসাধু কর্মের ছক কষেছে কি না, তাও জানতে চায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের আরো অনেক তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।